Monday, August 22, 2011

সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স

এই ধারনাটি ট্রেডিং করতে সর্বাপেক্ষা বেশী ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে একে S/R বলে।

চিত্রটি দেখুন। আঁকা-বাঁকা লেখচিত্রটি উপরের দিকে যাচ্ছে (বুল মার্কেট)। যখন বাজার উপরে ওঠে এবং তারপর নীচে নামে; নামার আগে বাজার যে উচ্চতম বিন্দুতে গিয়েছিল সেটি এখন রেজিস্টেন্স। নীচে নামার পর বাজার আবার উঠছে। মার্কেট ওঠার আগে সর্বনিম্ন যে বিন্দুতে পৌছেছিল এখন সেটা সাপোর্ট।
মনে রাখবেন, সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়।


চিত্রটিতে দেখুন ইউরো/ডলার এর সাপোর্ট এগজ্যাক্টলি ১. ৪৭০০ এ নয়। এটি একটি রেঞ্জ বা অঞ্চল (যেমনটি দেখানো হয়েছে ইউরো/ডলার সাপোর্ট রেঞ্জ ১. ৪৬৯০-১.৪৭১০)। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স অঞ্চলটি সাধারণত ক্যান্ডেলস্টিকের সুতাগুলি ধারণ করে।

ফলস ব্রেক আউটঃ

রিয়েল টাইম চার্ট দেখার সময় অনেক সময় মনে হবে সাপোর্ট অথবা রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কারণ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, প্রাইজ সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভেদ করে নীচে বা উপরে চলে যাচ্ছে বা গেছে। অথচ কিছু সময় পরে চার্টের দিকে তাকালে দেখি, প্রাইজ ক্লোজ হয়েছে, সাপোর্ট (বা রেজিস্টেন্স)-এর উপরে (বা নীচে)। অর্থাৎ আসলে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স সত্যিকার অর্থে ভাঙ্গেনি। একে ফলস ব্রেক আউট বলে। অনেকেই এরকম ফলস ব্রেক আউটে ট্রেড নিয়ে বিপদে পড়েন। এই পরিস্থিতি বহুলাংশে (৮০% সময়) এড়ানো যাবে যদি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টের সাথে সাথে আপনি লাইন চার্টে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইন গুলি হোল্ড করছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখেন। প্লিজ নোট করুন যে এটি খুব কাজে দেয়, এক সেকেন্ডের একটি ক্লিকে আপনি এটি দেখে নিতে পারেন। অথচ, ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়ে বেশীরভাগ ট্রেডারেরা এত ব্যস্ত থাকে যে এই সামান্য কাজটি করে 'লাইন চার্টে' সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হোল্ড করছে কিনা সেটা দেখতে ভুলে যায়।



তাহলে যখন ফলস ব্রেক আউট হয় তখন কি বুঝতে হবে? বুঝতে হবে যে, মার্কেট আসলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স রিটেষ্ট করতে (ছুঁতে) আসছিল, ভাঙ্গতে (ব্রেক আউট) আসেনি। চিত্রে দেখুন।

কিভাবে বুঝবো সত্যিই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে গেছে কিনা?

যদি পরপর দু'টি টাইম ফ্রেমে অর্থাৎ প্রথমে ১-ঘন্টা ও পরে ৪-ঘন্টায় প্রাইজ সাপোর্টের নীচে বা রেজিস্টেন্সের উপরে ক্লোজ হয়, তাহলে মনে করা যাবে যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে ব্রেক আউট হয়েছে। যারা লম্বা টাইম ফ্রেমে ট্রেড করেন অর্থাৎ সাধারনত যাদের ট্রেড সময়কাল ৭ দিন বা তার বেশী তাদের ১-ঘন্টা ও ৪-ঘন্টা সহ ডেইলি বারের ক্লোজ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ও ব্রেক আউট সম্পর্কে যেগুলি জানা থাকা ভালোঃ

যতবেশী বার প্রাইজ কোন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাবে সেই সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স তত শক্তিশালী। অর্থাৎ ভাঙ্গা কঠিন। কিন্তু যদি ভাঙ্গে তাহলে তত তীব্র বেগে উপরে বা নীচে যাবে।
যখন প্রাইজ রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে, তখন সেই রেজিস্টেন্স পরবর্তি লেভেলের জন্য সাপোর্ট হয়ে যায় (অনেকটা "দুই তালার ছাদের উপরই হচ্ছে তিন-তলার মেঝে"-এ রকম ব্যাপার)। তেমনি সাপোর্ট ভেঙ্গে নীচে নামলে সেটি পরের স্তরের রেজিস্টেন্স হয়ে যায়।
চিত্রটিতে মেজর (শক্তিশালী) ও মাইনর (তেমন শক্তিশালী নয়) সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স গুলি লক্ষ্য করুন। যেকোন চার্ট খুলে নিয়ে আপনি যদি কিছুটা প্রাক্টিস করেন তাহলে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স অঞ্চল গুলি সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন।

ট্রেন্ড লাইনঃ

ট্রেন্ড লাইন ঠিক মত আঁকতে পারলে সেটা অত্যন্ত কাজে দিতে পারে। কিন্তু বেশী ভাগ ট্রেডারই এই লাইন গুলি ঠিক মত আঁকতে চায় না। অথবা এমন ভাবে আঁকে যাতে লাইনটি মার্কেটকে ফিট করে (এটা আসলে আদারওয়ে হওয়া উচিত অর্থাৎ আপনি যেভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকা উচিত সেভাবে এঁকে রাখবেন। তারপর মার্কেট যেভাবে বিহেভ করছে সেটি লক্ষ করে আপনার ট্রেণ্ড লাইন হোল্ড করছে কিনা নির্ধারণ করে ট্রেড করবেন। প্রথমে জেনে নিই কিভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়ঃ

ঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটি হল, দুটি মেজর বটম (বা টপ) চিহ্নিত করা ও একটি লাইন দ্বারা যোগ করা।

প্রশ্নঃ তারপর কি করতে হবে?
উত্তরঃ আর কিছু করতে হবেনা।
প্রশ্নঃ এই সব?
উত্তরঃ জ্বী, এই সব। ট্রেণ্ড লাইন আঁকা আসলেই সহজ।
চিত্রটিতে আপট্রেন্ড, ডাউনট্রেন্ড ও সাইডওয়েজ (একেই রেঞ্জ বলে। রেঞ্জিং মানে প্রাইজ উপরে বা নীচে নির্দিষ্ট একটা রেঞ্জের মধ্যে ওঠা-নামা করছে) লক্ষ্য করুন। একটি আপট্রেন্ড লাইন সহজে চিহ্নিতযোগ্য হাইয়ার লো পয়েন্টগুলি বরাবর আঁকা হয়। একটি ডাউনট্রেন্ড লাইন সহজে চিহ্নিতযোগ্য রেজিস্টেন্স এলাকার চূড়া বরাবর আঁকা হয়।


ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালঃ

একটি ট্রেন্ড বা প্রবণতা লাইন আঁকতে অন্তত দুটি টপ অথবা বটম পয়েন্টস লাগে কিন্ত ট্রেন্ডটি কনফার্ম করতে তিনটি পয়েন্ট দেখা প্রয়োজন।

ট্রেন্ড লাইন বেশী খাড়া (স্টিপ) হলে খুব সম্ভবত সেটি বেশিক্ষণ টিকবে না। অর্থাৎ সেটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কোন কিছুই দীর্ঘ সময় ধরে স্টিপলি বাড়তে বা কমতে পারেনা।
 

যত বেশী বার ট্রেণ্ড লাইন টেষ্ট হবে অর্থাৎ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে যাবে কিন্তু ভাংবে না; ট্রেন্ড লাইনটি তত শক্তিশালী রূপে বিবেচিত হবে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সের ক্ষেত্রেও এটি সত্যি।

কখনো ফোর্স করে মার্কেটকে ফিট করতে ট্রেন্ড লাইন আঁকা যাবেনা। যে ট্রেন্ড লাইনটি এঁকেছেন, সেটি যদি নিয়ম মেনে আঁকা না হয়ে থাকে তাহলে সেটি ট্রেন্ড লাইনই নয়।

চ্যানেল


যদি আমরা এই ট্রেণ্ড (প্রবণতা) লাইন তত্ত্বটি একটি ধাপ আরও এগিয়ে নিয়ে আপট্রেন্ড (অথবা ডাউনট্রেন্ড) লাইনের সমান্তরাল (রেল লাইনের মত) আরেকটি লাইন আঁকতে পারি, তবে একটি চ্যানেল হবে। চিত্রটিতে উর্দ্ধমূখী চ্যানেল, নিম্নমূখী চ্যানেল ও আনুভূমিক চ্যানেল (রেঞ্জ) লক্ষ্য করুন। চ্যানেলে দুটি সমান্তরাল ট্রেন্ডলাইন থাকে। উর্দ্ধমূখী চ্যানেল আঁকতে প্রথমে আপট্রেন্ড লাইন আঁকবো (আশাকরি মনে আছে যে এর জন্য দু'টি লোয়ার হাই ভ্যালি পয়েন্টস লাগবে)। চ্যানেলের উপরের লাইনটি আঁকতে একটি পয়েন্টই যথেষ্ট। আর সে পয়েন্টটি হলো, যখন আঁকছেন, সে সময়ের সর্বাপেক্ষা সাম্প্রতিক পিক (টপ) বিন্দুটি। নিম্নমূখী চ্যানেল আঁকতে ঠিক এর বিপরীত কাজ গুলি করতে হবে। সাধারনতঃ মূল্য যখন চ্যনেলের বটম ট্রেন্ড লাইন স্পর্শ করে তখন বাই করা হয়, এবং মূল্য যখন চ্যানেলের উপরের ট্রেন্ড লাইন স্পর্শ করে তখন সেল করা হয়। মনে রাখবেন, উর্দ্ধমূখী চ্যানেলে সেল করার চেয়ে বাই করা নিরাপদ (অর্থাৎ মূল্য নীচের ট্রেন্ড লাইনের কাছাকাছি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে)। অপরপক্ষে, নিম্নমূখী চ্যানেলে বাই করার চেয়ে সেল করা নিরাপদ এবং তা করতে হবে প্রাইজ যখন উপরের ট্রেন্ড লাইনের কাছে যাবে বা ট্রেড লাইনটিকে স্পর্শ করবে।

লাইন এঁকে/দেখে ট্রেডিং করা

বেসিক শেখা হয়েছে। লাইন গুলো এখন আঁকতে পারা গেছে। এবার ট্রেডিং করার সময়। কখন, ট্রেড নেবেন? উত্তর হচ্ছে, ১- প্রাইজ কোন লাইন থেকে বাউন্স করলে অর্থাৎ ঠোক্কর খেয়ে আসলে অথবা ২- প্রাইজ কোন লাইন ক্লিয়ারলি ব্রেক করলে বা ভাঙ্গলে

১- বাউন্স

এই পদ্ধতিতে মূল্য সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স থেকে বাউন্স করলে ট্রেড এন্ট্রি নেয়া হয়। ঠিক সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স লাইনে ট্রেড নেওয়ার চেয়ে এখানে সুবিধা হলো যে, এটা জানা যাচ্ছে যে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স হোল্ড করছে (অর্থাৎ কিছুটা কনফার্মেশনের পরে যে, এ যাত্রায়ও সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স টিকে গেলো)। অবশ্য লাইন-এ কিনলে যে প্রাইজ়ে পাওয়া যেত, তার চেয়ে কিছুটা খারাপ প্রাইজে ট্রেড এন্ট্রি হবে। বাউন্স দেখে ট্রেড নিলে সেই প্রতিকূল সময়গুলি অতিক্রম করা যাবে যখন প্রাইজ খুব দ্রুত মুভ করে এবং একটানে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভেঙ্গে চলে যায়। একচুয়ালি ফরেক্সে একটা প্রবাদই আছে- নেভার ট্রাই টু ক্যাচ আ ফলিং নাইফ (পড়ন্ত ছুরি ধরার চেষ্টা কোরনা)। প্রাইজ তীব্রবেগে নীচে যাওয়ার সময় সুস্থির না হওয়া পর্যন্ত বাই না করার উপদেশ দিতে এই প্রবাদ বলা হয়।

২- ব্রেক

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময় কাজ করেনা (সব সময় কাজ করলে, সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্সে গেলেই আমরা সবাই বাই বা সেল করতে পারতাম ফলে কেউ আর গরীব থাকতো না। ইউনূস সাহেব গ্রামীন-ট্রামিন সব বাদ দিয়ে ফরেক্স ট্রেডিং-এ ব্যস্ত হয়ে পড়তেন)। বাস্তব হচ্ছে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে এবং (অসতর্ক ট্রেডারদের বিপদে ফেলার জন্য) প্রায়শঃই ভাঙ্গে। অভিজ্ঞ ট্রেডাররা এই ব্রেককেই নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে পারে। তারা শুধু বাউন্স খেলে না, ব্রেক ও খেলে। দু'ভাবে ব্রেক খেলা যায়, ক) আক্রমনাত্মকভাবে খ) রক্ষণাত্মকভাবে

ক) আক্রমনাত্মক ব্রেক ট্রেড করাঃ বাই অথবা সেল করুন যখন সুনির্দিষ্টভাবে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভাঙ্গে। সুনির্দিষ্টতা নির্ধারণ করবেন কিভাবে? অন্ততঃ দু'টি টাইম ফ্রেমে (১-ঘন্টা ও ৪-ঘন্টা) প্রাইজ সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স-এর নীচে/উপরে ক্লোজ হতে হবে।

খ) রক্ষণাত্মকভাবে ব্রেক ট্রেড করাঃ এক্ষেত্রে প্রাইজ পূনরায় ব্রেক লেভেলের কাছে ফিরে আসার (রিট্রেস/পুলব্যাক করা) জন্য অপেক্ষা করবেন। তারপর যখন ব্রেক লেভেলে বাউন্স করে যাত্রা শুরু করবে তখন ট্রেড নেবেন। নোটঃ সবসময় মার্কেট ব্রেক লেভেল রিটেষ্ট করতে যায়না। মাঝে মাঝে এরকম হয় যে, প্রাইজ একদিকে যেতেই থাকে, যেতেই থাকে আর, বিপক্ষে ট্রেড নেয়া থাকলে, লস বাড়তেই থাকে। এইজন্য সবসময় একটা স্টপ লস থাকতে হয়। আপনি হয়তো আশা করে আছেন, প্রাইজ যখন ব্রকেন লেভেল রিটেস্ট করতে আসবে তখন আগের ট্রেড ক্লোজ করবেন। এরকম আশা অনেক সময় একাউন্ট শুণ্য করার কারণ হয়। প্রবাদই আছে, নেভার গেট ম্যারিড টু এ পার্টিকুলার ট্রেড।

চুম্বক অংশঃ

  • সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয় এটি একটি রেঞ্জ
  • ফলস ব্রেক আউট এড়াতে সবসময় লাইন চার্টেও সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স দেখুন
  • ট্রেন্ড লাইন আঁকা অত্যন্ত সহজ কিন্তু নিয়ম মেনে ট্রেন্ড লাইন আঁকুন
  • দু'টি ট্রেডিং স্ট্রাটেজিঃ বাউন্স ও ব্রেক ট্রেড করা যেতে পারে

উপসংহারঃ
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ঠিক মত বুঝতে পারলে এবং বাউন্স ও ব্রেক ট্রেড করতে পারলে ট্রেডিং –এর অর্ধেক শেখা হয়ে গেল। অনেকটা ইংরেজি প্রবাদ ওয়েল বিগান ইজ হাফ ডান এর মত।

লেখাটি প্রস্তুত করেছেন চিফ ট্রেডার- বিডিএফএক্সগ্রুপ
 
(This write-up is prepared by the Chief Trader of BDFX Group. E-mail: bdfx.group@gmail.com 

Published in http://bdfxgroup.blogspot.com/    

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ লেখাটিতে বেবিপিপস ওয়েব সাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

Tuesday, August 16, 2011

ফ্রি সিগন্যাল

কিভাবে ফ্রি সিগন্যাল পেতে পারি - জানতে চেয়ে সম্প্রতি আমরা অনেক ই-মেইল পাচ্ছি। আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ এক মাসের জন্য ফ্রি সিগন্যাল পাঠাচ্ছিলাম অথচ জানতে পেরেছি, বিনামূল্যের এই সার্ভিসটিকে কেউ কেউ এবিউজ করছেন। যেমন একাধিক ই-মেইল খুলে মাসের পর মাস ফ্রি সিগন্যাল নিচ্ছেন। এছাড়াও সিগন্যাল গুলি পূনঃবিক্রয় করছেন। এই অনভিপ্রেত ঘটনাগুলি এড়াতে ফ্রি সিগন্যাল পাওয়ার পলিসিতে সামান্য রদবদল করতে হয়েছে। ফ্রি সিগন্যাল পেতে নিম্নলিখিত সহজ দু'টি কাজ করতে হবেঃ

- বিডিএফএক্স গ্রুপের এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে একটি লাইভ একাউন্ট খুলতে হবে।  কিভাবে একাউন্ট খুলতে হবে বিস্তারিত এই লিঙ্ক থেকে জেনে নিন।

- একাউন্ট খোলার পর bdfx.group@gmail.com এই ঠিকানায় ই-মেইল করে আমাদের জানাতে হবে।

আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমরা সরাসরি আপনার একাউন্টে জুলুট্রেডের মাধ্যমে সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবো। অর্থাৎ আমরা যে ট্রেডগুলি নেবো সেগুলি অটোম্যাটিক্যালি আপনার একাউন্টেও নেওয়া হবে। আমরা লাভ করলে আপনি লাভ করবেন; আমরা লস করলে আপনি লস করবেন। আমাদের সিগন্যালের পারফরম্যান্স দেখুনঃ